May 8, 2024, 5:24 am

শিশুদের ‘ইন্টারনেট আসক্তি’ ঠেকাতে নতুন গাইডলাইন চীনের

অনলাইন ডেস্ক।

মোবাইল ফোনে এবং অ্যাপে শিশুদের ইন্টারনেট আসক্তি ঠেকাতে একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে চীন সরকার। বাবা-মায়েদের অনুমতি নিয়ে গাইডলাইনটি বাস্তবায়ন করা হবে।

তবে সমালোচকেরা বলেছেন, এমন গাইডলাইনের বাস্তবায়ন হলে দেশটিতে প্রযুক্তির মাঝে বেড়ে উঠা প্রজন্মের তথ্যে প্রাপ্তির বিষয়টি সীমিত হয়ে পড়বে।

মোবাইল ফোন এবং অ্যাপ ব্যবহারে শিশুরা যেন আসক্ত হয়ে না পড়ে সেজন্য স্মার্টফোনে এবং মোবাইল অ্যাপে নতুন ফিচার যুক্ত করার লক্ষ্যে একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে চীন সরকার।

প্রস্তাবিত গাইডলাইনটি বাস্তবায়ন হলে, স্মার্টফোন এবং অ্যাপে একটি বিল্ট ইন মাইনর মোড থাকবে। এর ফলে প্রতিদিন শিশুরা দুই ঘণ্টার বেশি মোবাইল ইন্টারনেট চালাতে পারবে না।
২ সেপ্টেম্বর এই সংক্রান্ত্র আইনি বিষয়াদি শুরু করার কথা চীন সরকারের। গাইডলাইনটি বলছে, ব্যবহারকারীর বয়স অনুযায়ী ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় মাইনর মোডের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

আট বছরের কম বয়সিদের বেলায় দিনে ৪০ মিনিট ব্যবহারের সুযোগ প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। তাছাড়া ১৮ বছরের কম বয়স্করা রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কোনো ধরনের গেজেট ব্যবহার করতে পারবে না।
নতুন এই গাইডলাইন বাস্তবায়ন করা হবে কি না বা বাস্তবায়ন করা হলে শিশুদের তা ব্যবহারের সময়সীমা কতটুকু হবে সে বিষয়ে বাবা-মায়েদের সিদ্ধান্ত দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

খসড়া এই গাইডলাইনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘কনটেন্ট সিকিউরিটি’।

অর্থাৎ অনলাইনের ইনফরমেশন সামাজিক মূল্যবোধের সাথে সংগতিপূর্ণ হতে হবে যা চীন সরকার মনে করছে শিশুদের নৈতিকতার বিকাশে সহায়ক হবে। দেশটির সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সম্প্রতি এই গাইডলাইনটি প্রকাশ করে।
বাবা-মায়েদের সম্মতি

চীন সরকারের এই গাইডলাইনে সম্মতি প্রকাশ করেছেন বাবা-মায়েরা। প্রস্তাবনা শিশুদের বিকাশের জন্য বেশ ভালো বলে মন্তব্য অনেকের।

কং লিংমান নামে এক বাবা বলেন, ‘‘আমার হয় মনে প্রস্তাবনাটি সত্যিই ভালো।

” সাংহাইয়ে কর্মরত এই অভিভাবক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মোবাইল ফোনে শিশুদের অতিরিক্ত সময় কাটানোর ফলে তারা তাদের পরিবারের সাথে যে সময়টি কাটানোর কথা সেটি হারিয়ে যায়। ’’
সরকারের প্রস্তাবের সমর্থকদেরকে অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওয়াইবোতে এ বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা গেছে। সরকারের বিভিন্ন পোস্টের নিচে অনেকেই এটিকে ‘ভালো উদ্যোগ’ বলে মন্তব্য করেছেন।

সূত্র : ডয়চে ভেলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :